Learn From Chill Bird বাজ পাথির থেকে শিক্ষা
বাজ পাখী প্রায় ৭০ বছর জীবিত থাকে। অথচ ৪০ আসতেই না অাসতেই।ওকে একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ওই সময় তার শরীরের তিনটি প্রধান অঙ্গ দুর্বল হয়ে পড়ে।
থাবা( পায়ের নখ) লম্বা ও নরম হয়ে যায় । শিকার করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে । ঠোঁট টা সামনের দিকে মুড়ে যায় । ফলে খাবার খুটে বা ছিড়ে খাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ডানা ভারী হয়ে যায় এবং বুকের কাছে আটকে যাওয়ার দরুন উড়তে কষ্ট হয়, সীমিত হয়ে যায়। ফলস্বরূপ শিকার খোজা,ধরা ও খাওয়া তিনটা প্রধান কাজই ধীরে ধীরে অসম্ভব হয়ে পড়ে। অতঃপর ওর সামনে তিনটে পথ খোলা থাকে।
১. আত্নহত্যা করা।
২. শকুনের মত মৃতদেহ খেয়ে বাকী জীবন বেঁচে থাকা।
৩.. নিজকে পুনরস্থাপিত করা।
ও শেষ ব্যবস্হাটিকে প্রাধান্য দিয়ে একদিন একটা উচু পাহাড়ে আশ্রয় নেয়। সেখানে বাসা বাঁধে আর শুরু করে নতুন করে বেঁচে থাকার প্রচেষ্টা।
১. সে প্রথমে তার ঠোঁট পাথরের সাথে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে ভেঙে ফেলতে চেষ্টা করে এবং অনেক যন্ত্রণা সহ্য করে সে ভাঙতে সফল হয় ও ব্যথা থেকে মুক্তির অপেক্ষা করতে থাকে।
২. একই প্রক্রিয়ায় তার নখগুলোও ভেঙে ফেলে আর অপেক্ষা করতে থাকে নতুন ঠোঁট ও নখ গজানোর জন্য। একসময় তাও ঠিক হয়ে যায়।
৩. নখ ও ঠোঁট গজালে ও ওর ডানার সমস্ত পালক ঠোঁট দিয়ে ছিড়ে ফেলে। অসম্ভব কষ্ট সহ্য করে অপেক্ষা করতে থাকে নতুন পালকের। ১৫০ দিনের যন্ত্রণা ও প্রতিক্ষার পর সে সব নতুন করে ফিরে পায় তার ফেলে দেয়া অতীতের সবকিছু নতুন করে। আবার শুরু হয় তার সেই উঁচু ও লম্বা ওড়াউড়ি ও ক্ষিপ্রতার সাথে শিকার করা। এরপর সে আরো ৩০ বছর জীবিত থাকে আগের মত শক্তি ও অহঙ্কার নিয়ে। .....
শিক্ষাঃ
ইচ্ছা,সক্রিয়তা ও কল্পনাশক্তি মানুষের দুর্বল হয়ে পড়ে ৪০ আসতে না অাসতেই। মধ্য বয়সেই মানুষের জীবনে নেমে অাসে হতাশা, অভাব ও বার্ধক্য । তাই মানুষ বাকী জীবন বেঁচে থাকে অলস ও জীবমৃত অবস্হায় অন্যের দ্বারস্থ হয়ে। অথচ, মানুষ বুদ্ধি বিবেচনা, শক্তি ও সাহস সব প্রাণীদের থেকে বেশী ধারন করে থাকে।
তাই প্রতিটি মানুষেরই উচিত অলসতা পরিহার করে অাত্মসম্মান উৎপন্নকারী মানসিকতা বুকে ধারন করে
অতীতের ভারাক্রান্ত মন কে তাড়িয়ে দিয়ে।জীবনের বিবশতা কাটিয়ে ঠিক বাজ পাখির মতো চেতনা,সততা,
মনোবল নিয়ে এগিয়ে অাসলে বাকী জীবন অাবার সেই তেজোদীপ্ত অালোকিত জীবন কাটানো অসম্ভব কিছুই নয়।।১৫০ দিন নয় হমমাত্র একটি মাস করলেও মানুষ
পেতে পারে নতুন উদ্যম, অভিজ্ঞতা ও অন্তহীন শক্তি।
নিজেকে কখনোই হারাতে দেয়া ঠিক নয় আর জীবনে হার মানাও ঠিক নয় !
থাবা( পায়ের নখ) লম্বা ও নরম হয়ে যায় । শিকার করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে । ঠোঁট টা সামনের দিকে মুড়ে যায় । ফলে খাবার খুটে বা ছিড়ে খাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। ডানা ভারী হয়ে যায় এবং বুকের কাছে আটকে যাওয়ার দরুন উড়তে কষ্ট হয়, সীমিত হয়ে যায়। ফলস্বরূপ শিকার খোজা,ধরা ও খাওয়া তিনটা প্রধান কাজই ধীরে ধীরে অসম্ভব হয়ে পড়ে। অতঃপর ওর সামনে তিনটে পথ খোলা থাকে।
![]() |
VidDopie: Chill |
২. শকুনের মত মৃতদেহ খেয়ে বাকী জীবন বেঁচে থাকা।
৩.. নিজকে পুনরস্থাপিত করা।
ও শেষ ব্যবস্হাটিকে প্রাধান্য দিয়ে একদিন একটা উচু পাহাড়ে আশ্রয় নেয়। সেখানে বাসা বাঁধে আর শুরু করে নতুন করে বেঁচে থাকার প্রচেষ্টা।
১. সে প্রথমে তার ঠোঁট পাথরের সাথে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে ভেঙে ফেলতে চেষ্টা করে এবং অনেক যন্ত্রণা সহ্য করে সে ভাঙতে সফল হয় ও ব্যথা থেকে মুক্তির অপেক্ষা করতে থাকে।
২. একই প্রক্রিয়ায় তার নখগুলোও ভেঙে ফেলে আর অপেক্ষা করতে থাকে নতুন ঠোঁট ও নখ গজানোর জন্য। একসময় তাও ঠিক হয়ে যায়।
৩. নখ ও ঠোঁট গজালে ও ওর ডানার সমস্ত পালক ঠোঁট দিয়ে ছিড়ে ফেলে। অসম্ভব কষ্ট সহ্য করে অপেক্ষা করতে থাকে নতুন পালকের। ১৫০ দিনের যন্ত্রণা ও প্রতিক্ষার পর সে সব নতুন করে ফিরে পায় তার ফেলে দেয়া অতীতের সবকিছু নতুন করে। আবার শুরু হয় তার সেই উঁচু ও লম্বা ওড়াউড়ি ও ক্ষিপ্রতার সাথে শিকার করা। এরপর সে আরো ৩০ বছর জীবিত থাকে আগের মত শক্তি ও অহঙ্কার নিয়ে। .....
![]() |
VidDoPie: Chill |
No comments